১ লাখ হিন্দু সীমান্তে নামবে!' বাংলাদেশকে কড়া হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর!

 


বাংলাদেশে ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের পর সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।  


শুভেন্দু অধিকারী তার টুইটার (বর্তমান এক্স)-এ লেখেন, "বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নিয়মিত এবং পূর্ব পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক সনাতনী একত্রিত হয়েছেন। আমি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সনাতনীদের আহ্বান জানাই, বেআইনিভাবে গ্রেফতার হওয়া শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদে যোগ দিন।"  


তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্দেশে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "রবিবারের মধ্যে চিন্ময় দাসকে মুক্তি না দিলে, এক লাখ হিন্দু সীমান্তে জমায়েত করবে।"  


**বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত**  


ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন বাতিল হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার আদালতের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে একজন আইনজীবী নিহত হন। এর পর থেকেই সংখ্যালঘুরা একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।  


অন্যদিকে, বাংলাদেশের কিছু ইসলামিক সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নয়া দিল্লি। তবে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  


শুভেন্দুর বার্তা ও কর্মসূচি


বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করেছে। বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব তাদের সুরক্ষা প্রদান করা এবং সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। ভারত সরকারের উচিত এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া।"  


বাংলাদেশের চট্টগ্রামে মঙ্গলবার রাতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও এই ভিডিওগুলোর সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।  


সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।  

Source: Times Now Bengali 

নবীনতর পূর্বতন